উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬ টার এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম বলেন, পানি ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় ছিল বিপদসীমার কাছাকাছি। পরে দুপুর ১২ টা থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে নদী পাড়ের মানুষ আবারও তৃতীয় দফায় বন্যার পড়েছে। এদিকে, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর,খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে কিছু নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।